জনশ্রুতি অনুসারে, হুগলির গুপ্তিপাড়ায় স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী এক জমিদার বাড়িতে দুর্গাপুজো দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জমিদারবাড়ির লোকেরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং পুজোমণ্ডপে প্রবেশ করতে বাধা দেয় । এই ঘটনায় অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, আর কখনও জমিদারবাড়ির পুজোয় যাবেন না, বরং নিজেরাই চাঁদা তুলে মায়ের আরাধনা করবেন। গ্রামের বারোজন যুবক এই উদ্যোগে […]
এক
আর তিন্নি, তিন্নি তখন ছুট, ছুট…ছু—-ট। এক্কেবারে সোজা পাশের বাড়ির বালির গাদায়। দিগম্বর হয়ে তিনি তখন ইমারৎ গড়তে বসেছেন। গায়ে মাথার জল। সবে স্নান সারা হয়েছে, গা-টাও মোছা হয়নি এখনো।
– কোথায় গেলি আবার? হাতে গামছা নিয়ে ঘুরছে মাধুরী। এক্ষুনি গাড়িকাকু এসে পড়বে, তিন্নি……
হঠাৎই বালির গাদায় আবিষ্কার করেন তার ছোট্ট ছেলেটিকে। আপনমনে বালি মাখছে। একটি রবাহূত নেড়ি পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে কাণ্ডখানা।
দেখেছ? ছি ছি ছি! এইমাত্র স্নান করালাম। ওহ, বড্ড জ্বালাস তুই। আয়, নেমে আয় বলছি –
তিন্নির বয়স এই সবে চার হল বোধহয়। সবেমাত্র স্কুলে ঢুকেছে আর যত দিন যাচ্ছে দুষ্টুমি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
প্রতিটা দিন মোটামুটি এইভাবেই শুরু হয় মাধুরীর।
কোনক্রমে টেনে নামাল তিন্নিকে। আবার স্নান করাতে হবে। একে ঠাণ্ডার ধাত। তার ওপর এত জল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে – ভয় হয়। যা অসুখবিসুখ হচ্ছে চারদিকে।
গজগজ করতে করতে আবার তিন্নির গা ধুইয়ে দেয় মাধুরী।
– লাগুক এবার সর্দি। যত নোংরা নিয়ে খেলা সবসময়। দ্যাখতো, কৌশিক কেমন মায়ের কথা শোনে…
পাড়ার একটা নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে তিন্নি। ওকে সাজিয়ে গুছিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে তবে শান্তি মাধুরীর। জিতেন অনেকক্ষণ অফিসে বেরিয়ে গেছে। এখন অনেকটা ফাঁকা সময় থাকে ওর। আজ লম্বা একটা স্নান করতে হবে।
দুই
একটা ভদকা খুলে বসেছিল দুজনে। মাধুরী অবশ্য কোনদিনই এসবে কোম্প্যানি দেয় না। আরে বাবা, এসব হল আধুনিক জীবনের অঙ্গ। কোথায় কোন গুডবয় আছে এসব কোনদিন একটু আধটুও চেখে দেখেনি! ওর যেন সবটাতেই বাড়াবাড়ি।
একটু দূরে তিন্নিকে নিয়ে খেলা করছিল মাধুরী। প্রবীরদের বাড়ির সামনে একটা ছোটখাটো মাঠমত আছে। স্ট্রীটলাইটের আলোয় সন্ধ্যেবেলা মাঠটাকে মায়াবী দেখায়। মাধুরী একটা রূপকথার প্লট খুঁজছিল তিন্নিকে শোনাবে বলে। কিন্তু শহুরে আবহাওয়া রূপকথার চরিত্রদের ঠিক পাত্তা দিতে চাইছিল না।
হঠাৎই তিন্নি আঙুল দেখায় ভদকার বোতলটার দিকে। কানে কানে বলে – মা, থামসাপ খাবো।
বিব্রত বোধ করে মাধুরী। এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়তে হয় নি। কোনরকমে বলে – ওটা থামসাপ নয় রে- ওষুধ। শোন, তোকে একটা গল্প বলি। কথাটা বোধহয় কানে গেছিল প্রবীরের।
– এই যে লিটল মাস্টার, শোন’ এদিকে। বলে নিজেই উঠে এল পেগগ্লাসটা নিয়ে। এটা বড়দের থামসাপ, বুঝলে। তুমি যখন বাবার মত বড় হবে, তুমিও খাবে। অবিশ্যি তোমার বউ যদি তোমার মায়ের মত গুডগার্ল হয় তাহলে আদ্ধেক চার্মটাই মাঠে মারা যেতে পারে। কথায় বলে না, সুরা আর সাকি – একটা না হলে অন্যটা ফাঁকি! হাঃ হাঃ হাঃ। বিশ্রী শব্দ করে হাসছে প্রবীর।
– প্রবীরদা, মাইন্ড ইওর ল্যাঙ্গুয়েজ। উল্টোপাল্টা কথা বোল’ না।
– যাব্বাবা, রেগে গেলে নাকি?
– তুমি বুঝতে পারছ না, তিন্নির সামনে এসব কথা বলা ঠিক না।
– কেন? এর মধ্যে তুমি খারাপটা কি দেখলে? নাহ, তুমি বড্ড বেশি কনজারভেটিভ হয়ে যাচ্ছ দিনকে দিন। আজকাল বাপ ছেলে একসাথে বসে মাল খায়।
– আমার ছেলেকে তোমাদের মত আল্ট্রামডার্ন করে তোলার কোন ইচ্ছেই আমার নেই। মাধুরীর গলায় বিদ্রূপের সুর।
– ছেলে তোমার একার নয় মাধু। ওকে মানুষ করে তোলায় আমার কিছু ইচ্ছে অনিচ্ছেও থাকতে পারে। গলা জড়িয়ে যাচ্ছে জিতেনের। অল্পেতেই আউট হয়ে যায় ও। তবু গেলা চাই। আবার বিশ্রী শব্দ করে হাসছে প্রবীর।
– প্লিজ, প্রবীরদা, তুমি ওদিকে গিয়ে বসো। মদের গন্ধ আমার সহ্য হয় না।
– তুমি কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছ মাধু। জিতেনের চোখে শ্বাপদের হিংস্রতা।
তিন্নি ভয় পেয়েছে। আঁকড়ে ধরেছে মাকে। তিন্নির চোখদুটো খুব সুন্দর। কিন্তু এই পরিবেশে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই বিষিয়ে যাবে চোখদুটো। ওই চোখদুটো হারাতে মাধুরী ভয় পায়। তিন্নির জন্য ওর কষ্ট হয় খুব। কষ্ট হয় ওকে জন্ম দিয়েছে বলে। কষ্ট হয় ওকে রূপকথার বদলে কম্পিউটার শিখতে হচ্ছে বলে। ছোটবেলায় মাধুরীর একজন বুড়ি থুত্থুড়ি ঠাম্মা ছিল। তার গায়ের মধ্যে মিশে গিয়ে সে চাঁদসদাগর, রাজপুত্র, কোটালপুত্র, রাক্ষস-খোক্কসের গল্প শুনতো। ঠাম্মার গায়ে কেমন একটা আদুরে গন্ধ ছিল। তিন্নিরও ঠাকুমা আছেন বটে, কিন্তু দেখা হয় বছরে ওই পুজোয় কি গরমের ছুটিতে দুএকদিন। ওকে গ্রামে নিয়েই যেতে চায়না জিতেন। কতকিছু ওকে দিতে পারেনি মাধুরী।
উঠে দাঁড়ালো মাধুরী।
– জিতেন, তিন্নিকে নিয়ে এগোচ্ছি আমি।
– কোথায় যাবে?
– বাড়ি।
– মাধু, এটা কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
– তুমি কি উঠবে এখন?
কয়েক মুহূর্ত কি ভাবলো জিতেন। তারপর একেবারে আশাতীত ভাবেই বললো-
– ওয়েল, চলো।
প্রবীরকে কিছু বলারও প্রয়োজন মনে করেনি মাধুরী।
তিন
ঘরে ফিরেও কোন কথা হয়নি। মাধুরী তিন্নিকে হোমটাস্ক করিয়েছে। জিতেন টিভি দেখেছে বসে।
তিন্নিকে খাইয়ে ঘুম পাড়াবার পর দুজনে চুপচাপ খেতে বসেছে।
ভারি আশ্চর্য লাগে মাধুরীর। কি করে এই মানুষটাকে ভালবেসেছিলো সে। তারপর ভাবে মানুষটা তো ছিল না এমন। নাকি সে নিজেই বদলে গেছে? জিতেন তো তাই বলে। হতেও পারে। আগে কবিতা পড়তো কত মাধুরী। শঙ্খ, শক্তি, সুনীল এমনকি ইদানীংকালের জয় গোস্বামীও পড়েছে। কলেজ লাইফে ছিল হইহই করে নাটক। আশুতোষ মুখার্জি গিলে খেত একসময়। জিতেন কোনদিন এসবের মধ্যে ছিল না, কিন্তু অপছন্দ করতো বলেও তো মনে হয়নি কোনদিন। বরং একটু লজ্জিতই বোধ করতো এসব বিষয়ে তার অজ্ঞতার জন্য। আসলে দোষটা জিতেনের নয়। দোষটা সময়ের। জিতেন তার বলি। মাঝে মাঝে ওর জন্য করুণা হয়। এর থেকে বেরিয়ে আসার বোধ বা সাহস কোনটাই নেই জিতেনের।
মশারিটা টাঙিয়ে ভেতরে ঢুকল মাধুরী। জিতেন সিগারেট ধরিয়েছে। বাইরে এখনো ছিপছিপ করে বৃষ্টি পড়ছে।ধীরেসুস্থে সিগারেটটা শেষ করে জিতেন বিছানায় এল। এঘরের নাইটল্যাম্পটা কেমন যেন ফ্যাকাসে মনে হয় মাধুরীর। কতদিন ভেবেছে চেঞ্জ করবে। হয়ে ওঠে না। আলোটার মধ্যে কোন মাধুর্য নেই। যেন ঠিকমত অন্ধকার তৈরি করতে পারে না।
খানিক এপাশ ওপাশ করেই জিতেন একটা হাত রাখল মাধুরীর গায়ে। মাধুরী পাশ ফিরে শুলো।
এই এক অভ্যেস জিতেনের। কোনরকম পরিবেশের ধার ধারে না কক্ষনও। মন, মানসিকতা যেমনই হোক না কেন ও নিজের চাহিদা পুরণ করে নেবেই। প্রথম প্রথম বাধা দিত মাধুরী। তারপর দেখেছে কোন লাভ হয় না তাতে। বরং তিক্ততা বাড়ে। এখন নিষ্প্রাণ সহযোগিতা করে যায়।
জিতেনের হাতখানা মাধুরীর শরীরের এদিক ওদিক খেলা করতে থাকে। অস্বস্তি লাগে মাধুরীর। যেন একটা অপাংক্তেয়, বিরক্তিকর মাছির মত। বাসে, ট্রেনে ইতর জানোয়ারদের মত। মাধুরী প্রাণপণে ভাবতে চেষ্টা করছে জিতেন ওর স্বামী। কিন্তু ওর হাতটা বড্ড কঠিন। জিতেন ওকে এপাশ ফেরাবার চেষ্টা করছে।
এক ঝটকায় জিতেনের হাতটা সরিয়ে দেয় মাধুরী।
– কি হলো?
– ভালো লাগছে না। নিজের বিরক্তি যথাসম্ভব চেপে উত্তর দেয়ে ও। এরপর অবশ্যম্ভাবী ভাবে জিতেন জোর করবে। ওকে বাধ্য করবে আরেকটা ক্লান্তিকর ন্যক্কারজনক অধ্যায়ে। তারপর ঘুমিয়ে পড়বে।
– কি ব্যাপারটা কি বলোতো তোমার? উঠে বসেছে জিতেন। আর এক পর্দা গলা চড়াল – কি ভেবেছটা কি নিজেকে?
ঘটনার আকস্মিকতায় এপাশ ফিরলো মাধুরী। – আস্তে কথা বলো, তিন্নি ঘুমোচ্ছে।
– my foot! মশারি ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে জিতেন। ঝট করে ঘুরলো এদিকে।
– কি পেয়েছটা কি আমাকে? অনেকদিন ধরে দেখছি তোমার ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সব্বারই একটা লিমিট আছে বুঝলে? জিতেনের গলা চড়ছে।
চুপ করে আছে মাধুরী। চুপ করে দেখছে জিতেনকে। অল্প আলোয় জিতেনের মুখটা একটা প্রাগৈতিহাসিক জন্তুর মত দেখাচ্ছে। যেন জিভ বার করলেই লালা ঝরবে।
– কি হলো? চুপ করে আছ কেন? জবাব দাও।
কি বলবে মাধুরী? ওকে বলবে আমি তোমার দাম দিয়ে কেনা ফুর্তির মেশিন নই – ওকে বলবে শরীর জাগানোর মন্ত্র জানতে হয় – নাকি কলার ধরে তুলে আনবে বিছানায়।
ফস করে আরেকটা সিগারেট ধরালো জিতেন। মাধুরীর দম বন্ধ হয়ে আসছে। সমানে চিৎকার করে যাচ্ছে জিতেন। এবার নিশ্চয়ই তিন্নি উঠে পড়বে।
– এরম ম্যাদামারা বউ নিয়ে সংসার করা যায় না বুঝলে! আগে জানলে কোন শালা বিয়ে করতো? মাধুরীর কানদুটোয় আগুনের হলকা ছুটছে।
– বিয়ে করার জন্য তোমায় কোনদিন আমি মাথার দিব্যি দিইনি জিতেন।
– থামো…!!! তখন তো ভালোবাসা একেবারে উথলে পড়তো। বুঝিনা? ওসব শালা ছেলে ধরার কায়দা…
– জিতেন…! just stop it !!! ওফ! মাধুরীর ইচ্ছে করছে বাইরে গিয়ে একবার খোলা বৃষ্টিতে দাঁড়ায়। বড়ো ময়লা, বড্ডো দুর্গন্ধ ভেতরে।
– মা……
তিন্নি। তিন্নি এসে দাঁড়িয়েছে দরজায়। সেই চোখ। ভয়ার্ত, হতবাক। তিন্নিকে বাঁচাবার কোন উপায় জানা নেই মাধুরীর। বিষ – চারিদিকে বিষ। কোথায় লুকিয়ে রাখবে ওকে?
প্রবীরকে আরেকবার ফোন করবে কিনা ভাবছিল জিতেন। অফিস থেকে বেরতে এখনো অনেক দেরি। পারলে ফেরার পথে একবার ওর বাড়ি হয়ে যেতে হবে। বেচারা কাল কি ভাবল…
ঠিক তখনই এল ফোনটা। রিসিভারটা তুলতেই বুঝলো মাধুরীর।
চার
তিন্নি স্কুলে চলে যাওয়ার পর সারাটা সকাল, দুপুর মাধুরী একা। অখণ্ড অবসর। আগে তবু দু একটা বই পড়তো, এখন আর মন বসে না। আজকের দিনটা একেবারেই অন্যভাবে কাটাতে ইচ্ছে করছে। জিতেনের কথাগুলো বারবার বাধ সাধছে চিন্তায়। ডিভোর্স সে কখনই চায়নি, আজও চায়না। কথাটা ভাবতেই একটু থমকালো মাধুরী। হঠাৎ ডিভোর্সের কথাটাই বা মাথায় এল কেন? তবে কি নিজের অজান্তেই……যাহ, তা কি করে হয়? সে তো এখনো ভালইবাসে জিতেনকে। ধুর, যতসব ফালতু চিন্তা আসছে খালি। দোমড়ানো কাগজের মত ভাবনাটাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে মাধুরী।
পনিরের একটা পদ দেখেছিল কালকের কাগজে। আজ ট্রাই করা যাক। জিতেনের ফেভারিট পনির। মোড়ের মিষ্টির দোকানটা থেকে খানিকটা নিয়ে আসতে হবে। এলোমেলো ভাবতে ভাবতে এলো ফোনটা। ওপাশের গলাটা চেনা মনে হচ্ছে।
– হ্যালো, জিতেন সান্যাল?
– আমি ওনার মিসেস বলছি।
– গুড মর্নিং। আমি ডিউ ড্রপস থেকে মিস সেন বলছি। শুনুন…অনুভবের ছোট্ট একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে।
শিরদাঁড়া দিয়ে একটা হিমেল স্রোত নেমে গেল মাধুরীর। কি…কি হয়েছে?
– চিন্তা করবেন না। মারাত্মক কিছু নয়। ঐ খেলতে খেলতে কপালের কাছে কেটে গেছে। ও বলছে অন্য একটি বাচ্চা ওকে স্কেল দিয়ে মেরেছে। আমরা সেই বাচ্চার গার্জেনকে ডেকে পাঠিয়েছি। চিন্তার কিছু নেই… ফার্স্ট এইড…
ম্যাডাম আরো কিছু বলছিলেন বোধহয়। শেষের কথাগুলো আর কানে যায়নি মাধুরীর। লাইনটা ছেড়েই যে নাম্বারটা ডায়াল করলো সেটা জিতেনের।

পাঁচ
– তিন্নি, আমায় বলবি না মারামারি করছিলি কেন? আলতো করে প্রশ্ন করে মাধুরী।
– তুমি কাউকে বলবে না তো?
মাধুরী মাথা নাড়াতেই তিন্নি মাধুরীর মাথাটা দু হাত দিয়ে নামিয়ে আনে। তারপর কানের কাছে মুখ নিয়ে মিষ্টি সুরে বললো…
– মারামারি করিনি তো, আমরা তো যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছিলাম।
একটা বড় দম নিয়ে পিঠ বেড়িয়ে মাধুরীর কাঁধে হাত রাখলো জিতেন। দুজনের দৃষ্টি বিনিময় হল একবার। হঠাৎ করে মাধুরীর বুকের বুকের ভেতরটায় দলা পাকিয়ে ওঠে। জিতেনের হাতে সেই কবেকার হারিয়ে যাওয়া কলেজ ক্যাম্পাসের গন্ধ।

