গুপ্তিপাড়ার প্রাচীন গ্রন্থ পাঠ । গুপ্তিপাড়ার মঠ – শ্রীপতি চরণ কবিরত্ন সাহিত্যাচার্য । ১ম অংশ

এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন -

গ্রন্থ বিবরণ

পাঠ পরিকল্পনা

‘গুপ্তিপাড়ার মঠ’ গ্রন্থটি দুটি খণ্ড রয়েছে। দুটি খণ্ডই আমরা ক্রমে পাঠ করবো। বর্তমানে প্রথম খণ্ডের পাঠ শুরু হয়েছে। শ্রোতাদের সুবিধার জন্য আমরা এই গ্রন্থটিকে কয়েকটি ছোট অংশে ভাগ করে নিয়ে পড়বো। এই প্রতিবেদন প্রথম অংশ। প্রথম অংশে আমরা গ্রন্থটির শুরু থেকে ‘সত্যদেব সরস্বতী’ অধ্যায় পর্যন্ত পাঠ করেছি। গ্রন্থের অধ্যায়গুলি পর্ব সংখ্যা হিসেবে ক্রমানুসারে পাঠ করা হয়েছে। আগামী আরো কয়েকটি অধ্যায়গুলি পরবর্তী অংশে পর্ব ভাগ করে পাঠ করা হবে।

প্রতিটি অংশেই পাঠের সাথে আমরা ‘চিন্তাসূত্র’ হিসেবে পরিপ্রেক্ষিত এবং পাঠ আলোচনা সংযোজন করবো। পাঠক ও শ্রোতাদের গ্রন্থপাঠ শোনার সাথে সাথে চিন্তাসূত্র অংশটিও পড়ার অনুরোধ জানাই। সাথে  সাথে এই পাতার একদম শেষে মন্তব্য অংশে আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া এবং মতামত জানানোর অনুরোধ রইলো।

গ্রন্থ পাঠ

চিন্তাসূত্র

পরিপ্রেক্ষিত

গুপ্তিপাড়ার জনজীবন ও সংস্কৃতি বহুকাল ধরে শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির ও মঠ কেন্দ্রিক। শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্রকে গুপ্তিপাড়ার গ্রামদেবতা বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু এই ধর্মীয় পরিচয়ের বাইরে গিয়েও গুপ্তিপাড়ার সামাজিক ইতিহাসে শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির ও মঠ বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে আছে। গুপ্তিপাড়ার অধিবাসীদের সঙ্গে শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্রের সম্পর্ক ভক্ত ভগবানের বাইরেও প্রজা জমিদারের সম্পর্কে বিস্তারিত হয়েছে। শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র মঠের বিখ্যাত দণ্ডী রামানন্দ আশ্রমের সময়ে বর্ধমানের রাজা মঠ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা এবং সোমড়ার বেশ কিছু এলাকা মঠকে দান করেন। এর কিছু সময় পর থেকেই শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র মঠে মামলা মোকদ্দমা গোলমাল শুরু হয় এবং বহুদিন ক্ষমতা প্রদর্শনের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে শ্রী বৃন্দাবনচন্দ্র মঠ।

এ সমস্তই আমরা এখনকার মানুষরা তেমন জানতে পারি না, বা ভেবে দেখিনা তেমন করে। আমাদের ধর্মীয় সামাজিক বা রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাসের মধ্যে আমাদের গুপ্তিপাড়ার মূল সুরটি ধরা পড়ে। তার বেশ বড়ো অংশ সম্পর্কে জানা যায় শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র মঠের ইতিহাস আলোচনা করে দেখলে।

শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র মঠের প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক কাল নিয়ে চূড়ান্ত প্রামাণ্য লেখ্য প্রমাণ কিছু নেই। গুপ্তিপাড়ার বরেণ্য পণ্ডিতেরা গবেষণা করে যা মত দিয়েছেন আমরা তাই মেনে চলতে পারি। গুপ্তিপাড়ার ইতিহাস নিয়ে যে কাজগুলি গুপ্তিপাড়ার গর্ব তাদের মধ্যে সবার আগে শ্রীপতিচরণ কবিরত্ন সাহিত্যাচার্যের “গুপ্তিপাড়ার মঠ” গ্রন্থটির নাম আসে। এইটিই গুপ্তিপাড়ার মঠের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপির হাতে লেখা অনুলিপি গুপ্তিপাড়া শিশির বাণী মন্দির পাঠাগারে সযত্নে সংরক্ষিত আছে। এর পরে গুপ্তিপাড়ার আরেক নমস্য সন্তান শ্রী নৃসিংহপ্রসাদ ভট্টাচার্য মহাশয়ের “বঙ্গ সংস্কৃতির একপর্ব” গ্রন্থটির কথা আসে। শ্রী নৃসিংহপ্রসাদ বাবু তাঁর বইতে শ্রীপতিচরণ বাবুর বইটিতে প্রকাশিত ‘সত্যদেব সরস্বতী’ প্রবন্ধের (গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার গ্রন্থপাঠের পর্ব ৬) বলছেন – 

“শ্রীপতি কবিরত্ন পরিবেশিত জনশ্রুতি অনুযায়ী যদি জোড়বাংলা মন্দির গোমুখানন্দ সরস্বতীর আমলে নির্মিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে ইহা আঃ খ্রীঃ ১৬৯৬ হইতে খ্রীঃ ১৭০৬ মধ্যে কোন সময়ে নির্মিত হইয়াছিল। মন্দির নির্মাণের কালকে কোন ক্রমেই ইহার আগে টানিয়া লওয়া চলে না।”

১৭০০ সালের বাংলায় শ্রীচৈতন্যের তিরোভাবের দেড়শো বছর অতিক্রান্ত। ভক্তির জোয়ারে ভেসে গেছে নবদ্বীপ শান্তিপুর। সে জোয়ার মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ এবং তার শিষ্যদের সাথে পৌঁছে গেছে পুরী থেকে বৃন্দাবন। পুর্বভারত ভক্তির জোয়ারে ভাসলেও গুপ্তিপাড়া ১৭০০ সালেও বৈষ্ণবভাবধারায় তেমন প্রভাবিত হয়নি। শৈব, শাক্ত ও বৈষ্ণব – হিন্দুধর্মের এই তিনটি আগমের মধ্যে গুপ্তিপাড়ায় মূলতঃ শাক্তভাবের প্রাধাণ্য ছিলো। শ্রীচৈতন্যের ভক্তির প্রবল জোয়ারেও গুপ্তিপাড়া তার শাক্তভক্তি ধরে রেখছিলো আন্দাজ করা যায়। এমনকি বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির প্রতিষ্ঠার পরেও মঠের দণ্ডী রামানন্দ আশ্রম দেশকালীতলায় পঞ্চমুন্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করেন। গুপ্তিপাড়ার বিখ্যাত সন্তান ‘শ্রীশ্যামাকল্পলতিকা’ রচয়িতা মথুরেশ বিদ্যালঙ্কারও সিদ্ধ তান্ত্রিক ছিলেন। বরং নবদ্বীপের জ্ঞানমার্গ বা নিগম চর্চায় গুপ্তিপাড়ার বিশেষ আগ্রহ ছিলো। জ্ঞানচর্চায় প্রসিদ্ধ স্মার্ত পন্ডিতেরা সে সময় গুপ্তিপাড়া আলো করে থাকতেন। শ্রীবৃন্দাবন চন্দ্র প্রতিষ্ঠাতা সত্যদেব নিজে জ্ঞানপথের সন্যাসী ছিলেন। বৈষ্ণব ভক্তির ধারা তখনো গুপ্তিপাড়ায় এসে পৌঁছয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে গুপ্তিপাড়া মঠের শুরু।

 

বৃন্দাবন চন্দ্র সন্যাসীর দেবতা

গ্রন্থটির পাঠে শুনতে পাবেন শ্রীবৃন্দাবনচন্দ্র কে বারবার ‘সন্যাসীর দেবতা’ এবং ‘উদাসীনের দেবতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এই সন্যাসীর দেবতাকে প্রথম পেলেন শান্তিপুরের একজন ‘জনৈক’ বৈষ্ণব গৃহস্থ। সন্যাসীর দেবতা আশ্রয় নিলেন গৃহস্থের ঘরে। এদিকে সন্যাসী সত্যদেব সরস্বতী এলেন গুপ্তিপাড়ায়। বৃন্দাবন চন্দ্র গৃহস্থকে স্বপ্নাদেশ দিলেন তাঁকে সত্যদেব সরস্বতীকে দিয়ে আসার জন্য। গৃহস্থ ব্রাহ্মণ ভক্তির আতিশয্যেই তা করতে পারলেন না। এর ফলে কেবল কন্যা ছাড়া তাঁর পরিবারের সমস্ত সদস্য মারা গেলেন। শেষ পর্যন্ত সত্যদেব কন্যার কাছে বৃন্দাবন চন্দ্র কে আনতে গেলে কন্যাও দেহত্যাগ করলেন। তারপর বৃন্দাবন চন্দ্র গুপ্তিপাড়ায় এলেন। এই পুরো গল্পটিই শ্রীপতি চরণ বাবুর গ্রন্থে তিনি লিখেছেন এবং আপনারা পাঠও শুনছেন। শ্রীপতি চরন মহাশয় গ্রন্থটির অবতরণিকায় লিখেছেন – 

“জনপ্রবাদ ও উপাখ্যান অতিরঞ্জিত দোষে দুষ্ট বটে, কিন্তু সৈকত মধ্যে লীন সরস্বতীর ন্যায় তাহাদের অন্তরে ঐতিহাসিক তত্ত্ব গূঢ়ভাবে বর্ত্তমান আছে এ কথা সকলেরই স্বীকার্য।”

আমাদের আগ্রহ সেই ঐতিহাসিক গূঢ় তত্ত্বের অনুসন্ধান। আমরা এক ধরণের ছদ্ম আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতায় এ ধরণের গল্পকে কেবল ঐ অলৌকিক গল্প ভাবতেই অভ্যস্ত। কিন্তু সত্যই বিজ্ঞানমনস্কতায় ভাবলে বোঝা যায় বৃন্দাবন চন্দ্রের এই লোকশ্রুতির আড়ালে রয়েছে বৈষ্ণব ভক্তির এক অন্যন্য রূপকল্প। সমস্ত পরিবার মারা যাওয়ার পরেও ব্রাহ্মণ তার ইষ্টদেবের প্রতি ভক্তিতে অবিচল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তিনি স্বয়ং ভগবানের স্বপ্নাদেশ সত্বেও তাকে ত্যাগ করেন না। অন্যদিকে এমন ভক্তিপথের সাধকের কন্যা দেহত্যাগ করছেন সম্পুর্ণ ভিন্ন পথে। হটযোগের গূঢ় সাধনা ত্রাটকের মাধ্যমে তার প্রয়াণ ঘটছে। সত্যদবে বিস্মিত হচ্ছেন ভক্তিপথের সাধকের কন্যার যোগসাধনায় এমন সিদ্ধি দেখে। আমরা এই ঘটনায় এও খানিক ধারণা করতে পারি ভক্তিপথের সাধকেরাও জ্ঞান বা যোগের পথে দক্ষতা রাখেন। ভক্তি কেবলই অজ্ঞানতার সমার্থক নয়। প্রকৃত ভক্তিপথ জ্ঞান বা যোগ বিযুক্ত নয়।

 

জ্ঞান ও ভক্তির মিশ্র পথের শুরু

শ্রীচৈতন্যের দেড়শো বছর পরেও যখন বৈষ্ণব ভক্তি প্রধান আগম আন্দোলন হওয়া সত্বেও গুপ্তিপাড়ায় তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি, তখন বৈষ্ণব ভক্তির দেবতাকে সন্যাসীর দেবতা হয়ে উঠতে হয়েছে। ভক্তি তখন জ্ঞান কে আশ্রয় করতে চাইছে। আমরা দেশীয় দর্শনে ভক্তির স্থান প্রায় সমস্ত পথের শেষ পথ হিসেবে বিবেচিত হয়। কলিযুগে জ্ঞান অপেক্ষা ভক্তিপথ শ্রেয় বলে গণ্য হয়। এই স্রোতের অনুকুলেই শ্রীচৈতন্যের জ্ঞান পথ বর্জন করে ভক্তিপথে ভেসে যাওয়া। অথচ গুপ্তিপাড়ায় ভক্তি এসে জ্ঞানের আশ্রয় ভিক্ষা করেন।

সত্যদেব সরস্বতীয় গুপ্তিপাড়ায় থেকে যাওয়ার কারনও সেই যুক্তিজ্ঞান যা গুপ্তিপাড়া সহজাত। গ্রন্থপাঠে শুনবেন সামান্য সংসারী এক প্রৌঢ়ার কাছে তিনি শিক্ষালাভ করছেন। জ্ঞানচর্চাই গুপ্তিপাড়ার প্রধান সাধন ছিলো সে সময়। এইমত পরিস্থিতিতে বৈষ্ণব দেবতা গুপ্তিপাড়ায় আসছেন সন্যাসীর হাত ধরে। এবং সন্যাসী ধীরে ধীরে ভক্তিরসে ভেসে যাচ্ছেন। এভাবেই গুপ্তিপাড়ায় ভক্তিরসের চর্চা শুরু।

একটু গভীরে গেলে বোঝা যায় শ্রীচৈতন্যের ভক্তি আন্দোলনের পিছনে একটি মূল কারন তৎকালীন ন্যায়যুক্তি ও ব্রাহ্মণ্য আচারের আধিক্য। এর ফলে সমাজের সাধারণ মানুষের উপাসনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভক্তি আন্দোলন যেমন সবার জন্য উপাসনা দরজা খুলে দেয়, বৃন্দাবন চন্দ্রের আগমনেও গুপ্তিপাড়ায় একই ধরণের সমাজপরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। নবদ্বীপ বা শান্তিপুরের সঙ্গে এইখানে গুপ্তিপাড়ার কিছু বিশেষ পার্থক্যও রয়েছে। নবদ্বীপ এবং শান্তিপুরের ভক্তি আন্দোলন জ্ঞানকে প্রায় বিসর্জন দিয়ে সম্পুর্ণ ভক্তির কাছে আত্মসমর্পন করে। গুপ্তিপাড়ায় তা হয় নি। ভক্তির জোয়ার এলেও জ্ঞানচর্চা গুপ্তিপাড়ায় থেমে থাকে নি। বরং জ্ঞান ও ভক্তির বা আরো ভালো করে বললে নিগম এবং আগম পথের এক অনির্বচনীয় মিশ্র পথ গুপ্তিপাড়ার পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। শৈব, শাক্ত আগম তো ছিলোই। শ্রীবৃন্দাবন চন্দ্রের প্রতিষ্ঠার পর বৈষ্ণব আগমেরও চর্চা গুপ্তিপাড়ায় বেড়ে ওঠে। একই সাথে বৈদিক নিগম পথে বা স্মার্ত জ্ঞান ও ন্যায়চর্চা সমান গুরুত্বে চলতে থাকে। এই সংমিশ্রণ গুপ্তিপাড়ার সংস্কৃতি এবং জীবনশৈলীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা আমরা বর্তমান পাঠ অংশে দেখতে পাই। গ্রন্থপাঠের পরবর্তী অংশে আমরা শুনবো কীভাবে সন্যাসীর দেবতা শ্রীবৃন্দাবন চন্দ্র জমিদারী লাভ করেন এবং মঠ ও দণ্ডীরা বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পড়েন। গুপ্তিপাড়া মঠে বহুদিন লেঠেল এবং বরকন্দাজদের আধিক্য দেখা যেত।

এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন -

পাঠকের মন্তব্য

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    আরো প্রতিবেদন পড়ুন

    বাংলার প্রথম বারোয়ারি – গুপ্তিপাড়া শ্রী বিন্ধ্যবাসিনী পুজোর গল্প

    জনশ্রুতি অনুসারে, হুগলির গুপ্তিপাড়ায় স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী এক জমিদার বাড়িতে দুর্গাপুজো দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জমিদারবাড়ির লোকেরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং পুজোমণ্ডপে প্রবেশ করতে বাধা দেয় । এই ঘটনায় অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, আর কখনও জমিদারবাড়ির পুজোয় যাবেন না, বরং নিজেরাই চাঁদা তুলে মায়ের আরাধনা করবেন। গ্রামের বারোজন যুবক এই উদ্যোগে […]

    কালীপুজো – বাংলার শক্তি উপাসনার সমন্বয়ধর্মী বিবর্তন

    আশ্বিনে দুর্গাপুজোর উৎসবের রেশ নিয়েই কার্তিকের অমাবস্যায় বাঙালী মেতে ওঠে শ্যামা মায়ের আরাধনায়। দুর্গাপুজোর মতই গৃহস্থ পরিবার থেকে শুরু করে মন্দির ও বারোয়ারি সর্বত্রই কালী পুজোর বিস্তার। দুর্গার মতোই কালীও বাংলার নিজের ঘরের মা হয়ে উঠেছেন আমাদের মানসপুজোয়। কালী প্রকৃতিগত ভাবে উগ্র, ভয়ঙ্করী এবং শ্মশানচারিণী। এই ভয়ানক রূপকল্পনা থেকে মমতাময়ী ঘরের মা কালী হয়ে ওঠার যাত্রা হিন্দুশাস্ত্র ও ইতিহাসের এক আকর্ষনীয় যাত্রা। শুধু ধর্মীয় পরিধি নয়, এই পরিবর্তনের পিছনে লুকিয়ে আছে বাংলার জীবনশৈলী, দর্শন ও সমাজের এক আশ্চর্য বিবর্তনের গল্প।

    দুর্গা পুজোর ইতিহাস ও বিবর্তন / পর্ব ২ / ধর্মীয় ও নৃতত্ববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন

    সম্পূর্ণ প্রতিবেদনের পাঠ শুনুন 00:00 1X Sorry, no results.Please try another keyword ৩/ ধর্মীয় শক্তিপুজোর দৃষ্টিকোন – বৈদিক ও পৌরাণিক মিশ্রন আমাদের জ্ঞানচর্চার একটা বড়ো মুশকিল হলো তথ্যের প্রাচুর্য কিন্তু বোধের অভাব। দুর্গা নিয়েও আমাদের ইতিহাস চর্চার মূল উদ্দেশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখি কোন পুরাণে কী গল্প লেখা আছে তাই আলোচনা। অবশ্য অন্যরকম হওয়ার কথাও নয়। […]