সমস্ত খবর গুপ্তিপাড়া মিডিয়া অ্যাপে

গুপ্তিপাড়ার খবর জানুন প্রতিবেদনে

গুপ্তিপাড়ার সোশ্যাল মিডিয়া

গুপ্তিপাড়ার দর্শনীয় স্থান

গুপ্তিপাড়া সম্পর্কে দু চার কথা

প্রাচীনকালে বাংলায় চারটি জায়গা জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল। সেগুলি হলো নবদ্বীপ, শান্তিপুর, গুপ্তিপাড়া এবং ত্রিবেণী। গুপ্তিপাড়া হুগলি জেলার একটি ঐতিহাসিক গ্রাম, যা একাধারে বৈদিক চর্চার কেন্দ্রস্থল, আবার অন্যদিকে শৈব, শাক্ত এবং বৈষ্ণব সংস্কৃতির পীঠস্থান। গুপ্তিপাড়া সামাজিক দুর্গাপূজা, যা “বারোয়ারি পূজা” নামেও পরিচিত, তার জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত। গুপ্তিপাড়া বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব, পোড়ামাটির (Terracotta) মন্দির এবং “গুঁপো সন্দেশ” নামক মিষ্টির জন্যও বিখ্যাত। সর্বোপরি গুপ্তিপাড়ার মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, বিস্তৃত আম বাগান, চাষের ক্ষেত গুপ্তিপাড়াকে চিরসবুজ করে রেখেছে।

অবস্থান

গুপ্তিপাড়া হুগলি নদীর পাশে অবস্থিত, কলকাতা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। এটি হাওড়া-কাটোয়া লাইনে ট্রেন দ্বারা সহজেই হাওড়া ব্যাণ্ডেল স্টেশানের সঙ্গে সংযুক্ত। শিয়ালদহ রেল স্টেশান থেকেও সকালে শিয়ালদহ-কাটোয়া লোকালে গুপ্তিপাড়া পৌঁছনো যায়। চুঁচুড়া থেকে জিরাট হয়ে বাস ও অটো সহযোগেও গুপ্তিপাড়া আসা যায়। গুপ্তিপাড়ার গঙ্গার অপর পারে শান্তিপুর। শান্তিপুর থেকে গুপ্তিপাড়া ঘাট হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে গুপ্তিপাড়া আসা যায়। উল্লেক্ষ্য গুপ্তিপাড়া গঙ্গা ঘাটে বড় গাড়ি পার করার ব্যবস্থা আছে।

উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা

গুপ্তিপাড়ার মুখপত্র

The Voice of Guptipara

সংস্কার ও সংরক্ষণ

Restoration & Archival

প্রকাশনা মাধ্যম

Publishing Platform

তথ্য ভাণ্ডার

Information Hub

সচেতনতা ও প্রচার

Awareness & Promotion

আমরা গুপ্তিপাড়ার কয়েকজন সন্তান যারা গুপ্তিপাড়ার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও সংস্কার বিষয়ে আগ্রহী এবং বিশেষভাবে উদ্যোগী। ক্ষুদ্র ভৌগলিক আয়তন সত্বেও গুপ্তিপাড়ার অসামান্য প্রাকৃতিক ও জীবনশৈলীর বৈচিত্র বাংলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের একটি বিশিষ্ট পরিচয় বহন করে। আমরা এ বিষয়ে সচেতন এবং এই দুর্লভ ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে নিজেদের গর্বিত মনে করি।

গুপ্তিপাড়া মিডিয়া গঠনের চিন্তাভাবনা শুরু হয় ২০২০ সাল থেকে। আমরা প্রথমেই আমাদের স্থানীয় উৎসবগুলির ছবি, ভিডিও তুলতে শুরু করি এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে আরম্ভ করি। যদিও এই কাজ আমরা বহু বছর আগে থেকে গুপ্তিপাড়ায় করে আসছি, ২০২০ সাল থেকে বলা যেতে পারে নতুন উদ্যোগে আবার কাজ শুরু হয়। ধীরে ধীরে ওয়েবসাইট তৈরি হয় এবং ২০২৫ সাল থেকে গুপ্তিপাড়া মিডিয়া পুরোপুরি আত্মপ্রকাশ করে।

পাঁচটি মূল উদ্দেশ্য নিয়ে গুপ্তিপাড়া মিডিয়া এগিয়ে চলেছে - 

  1. গুপ্তিপাড়ার মুখপত্র
  2. সংস্কার ও সংরক্ষণ
  3. প্রকাশনা মাধ্যম
  4. তথ্য ভাণ্ডার
  5. সচেতনতা ও প্রচার
গুপ্তিপাড়া মিডিয়া গুপ্তিপাড়ার সংস্কৃতিকে আরো বড়ো প্রেক্ষাপটে তুলে ধরার জন্য গঠিত। গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা গুপ্তিপাড়ার বিভিন্ন লোকাচার, সংস্কৃতি, খেলাধুলা এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নিয়মিত আমাদের পরিবেশনা তুলে ধরবো। গুপ্তিপাড়ার গায়ক, বাদক, লেখক ও অন্যান্য শিল্পীদের কাজও আমরা গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরবো।

গুপ্তিপাড়া মিডিয়া অ্যাপ

ওয়েবসাইটের সমস্ত কিছু দেখুন আমাদের অ্যাপ এর মাধ্যমে। খুবই ছোট সাইজের এই অ্যাপটি যে কোন মোবাইলে সহজেই ইন্সটল করা যায়।
বিস্তারিত দেখুন

নিজস্ব প্রতিবেদন

আমরা নিয়মিত গুপ্তিপাড়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে ছবি, ভিডিও, অডিও, লেখা ইত্যাদি মাধ্যমে গুপ্তিপাড়া মিডিয়াতে প্রকাশ করি।
বিস্তারিত দেখুন

গুপ্তিপাড়া টাইমলাইন

গুপ্তিপাড়ার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুকের মতোই সরাসরি পোস্ট করুন টাইমলাইনে। লাইক, কমেন্ট ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা সহ।
বিস্তারিত দেখুন

গুপ্তিপাড়া তথ্যতালিকা

গুপ্তিপাড়ার দর্শনীয় স্থান, পুজোর খবর, বিদ্যালয়, প্রশাসনিক ভবন সহ সমস্ত তথ্য এক পাতায়। তথ্যতালিকায় সংযোজনের কাজ সবে শুরু হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন

প্রকাশনা মাধ্যম

গুপ্তিপাড়া মিডিয়াতে আপনার বা আপনার নিকটাত্মীয়ের শিল্পকর্ম প্রকাশের জন্য আমরা প্রস্তুত। অডিও বা ভিডিও তৈরির দায়িত্ব আমাদের।
বিস্তারিত দেখুন

পৃষ্ঠপোষক সদস্যপদ

আমাদের কাজ সদর্থক মনে হলে আমাদের পাশে থাকতে পারেন। ন্যূনতম আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে আমাদের সদস্যপদ গ্রহণ করুন।
বিস্তারিত দেখুন

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন পড়ুন

বাংলার প্রথম বারোয়ারি – গুপ্তিপাড়া শ্রী বিন্ধ্যবাসিনী পুজোর গল্প

জনশ্রুতি অনুসারে, হুগলির গুপ্তিপাড়ায় স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী এক জমিদার বাড়িতে দুর্গাপুজো দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জমিদারবাড়ির লোকেরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং পুজোমণ্ডপে প্রবেশ করতে বাধা দেয় । এই ঘটনায় অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, আর কখনও জমিদারবাড়ির পুজোয় যাবেন না, বরং নিজেরাই চাঁদা তুলে মায়ের আরাধনা করবেন। গ্রামের বারোজন যুবক এই উদ্যোগে […]

কালীপুজো – বাংলার শক্তি উপাসনার সমন্বয়ধর্মী বিবর্তন

আশ্বিনে দুর্গাপুজোর উৎসবের রেশ নিয়েই কার্তিকের অমাবস্যায় বাঙালী মেতে ওঠে শ্যামা মায়ের আরাধনায়। দুর্গাপুজোর মতই গৃহস্থ পরিবার থেকে শুরু করে মন্দির ও বারোয়ারি সর্বত্রই কালী পুজোর বিস্তার। দুর্গার মতোই কালীও বাংলার নিজের ঘরের মা হয়ে উঠেছেন আমাদের মানসপুজোয়। কালী প্রকৃতিগত ভাবে উগ্র, ভয়ঙ্করী এবং শ্মশানচারিণী। এই ভয়ানক রূপকল্পনা থেকে মমতাময়ী ঘরের মা কালী হয়ে ওঠার যাত্রা হিন্দুশাস্ত্র ও ইতিহাসের এক আকর্ষনীয় যাত্রা। শুধু ধর্মীয় পরিধি নয়, এই পরিবর্তনের পিছনে লুকিয়ে আছে বাংলার জীবনশৈলী, দর্শন ও সমাজের এক আশ্চর্য বিবর্তনের গল্প।

দুর্গা পুজোর ইতিহাস ও বিবর্তন / পর্ব ২ / ধর্মীয় ও নৃতত্ববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনের পাঠ শুনুন 00:00 1X Sorry, no results.Please try another keyword ৩/ ধর্মীয় শক্তিপুজোর দৃষ্টিকোন – বৈদিক ও পৌরাণিক মিশ্রন আমাদের জ্ঞানচর্চার একটা বড়ো মুশকিল হলো তথ্যের প্রাচুর্য কিন্তু বোধের অভাব। দুর্গা নিয়েও আমাদের ইতিহাস চর্চার মূল উদ্দেশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখি কোন পুরাণে কী গল্প লেখা আছে তাই আলোচনা। অবশ্য অন্যরকম হওয়ার কথাও নয়। […]

দুর্গা পুজোর ইতিহাস ও বিবর্তন / পর্ব ১ / সামাজিক ও শৈল্পিক দৃষ্টিকোন

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনের পাঠ শুনুন 00:00 1X Sorry, no results.Please try another keyword দুর্গা পুজো বাঙালির বচ্ছরকার উৎসব। সারা বছর ধরে বাংলার গ্রাম শহর প্রতীক্ষা করে থাকে উমা বাপের বাড়ি আসবে বলে। আশ্বিনের প্রকৃতির সঙ্গে দুর্গাপুজোর আমেজ যেন এক হয়ে যায়। আশ্বিনের অমাবস্যায় মহালয়া। পিতৃতর্পণের মধ্যে দিয়ে পিতৃপক্ষের শেষ এবং পরবর্তী পনেরো দিন দেবীপক্ষ – লক্ষীপুজোয় […]

মহালয়া ২০২৫ । গঙ্গায় তর্পন । সমব্যাথী ফাউণ্ডেশনের বস্ত্রদান, অন্নদান এবং রক্তদান শিবির

মহালয়ায় গুপ্তিপাড়া গঙ্গার ঘাটে যথোপচারে পিতৃতর্পন অনুষ্ঠিত হয়। এই পূণ্যলগ্নে গুপ্তিপাড়া একদল তরুন আয়োজন করেন শিশু ও বয়স্কদের বস্ত্রদান এবং অন্নদানের। ‘সমব্যাথী ফাউণ্ডেশন’ তাদের সংস্থার নাম। বস্ত্র ও অন্নদানের সাথে সাথে এই দিনে বিগত বছর থেকে তারা আয়োজন করছেন রক্তদান শিবির। তারা বিশ্বাস করেন এভাবেই তাদের তর্পন উদযাপিত হয়। সংস্থার সদস্যদের নিজেদের কথায় শুনুন তাদের […]

দেওয়াল চিত্র – দীপ্তকীর্তি চট্টোপাধ্যায়

দীপ্তকীর্তি চট্টোপাধ্যায় দীপ্তকীর্তি গুপ্তিপাড়ার আগামী প্রজন্ম। টেংরিপাড়া অধিবাসী তমোনাশ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র। শিল্পানুরাগী পিতামাতা তাদের ঘরের সমস্ত দেওয়াল পুত্রের আঁকার জায়গা করে দিয়েছেন। সুযোগ্য পুত্রও তার যথার্থ সদব্যবহার করেছেন। ঘরের সমস্ত দেওয়াল জুড়ে দীপ্তকীর্তি তার কল্পনা বিস্তার করেছেন। আমাদের এই নিবেদনে রইলো দীপ্তকীর্তির আঁকা ছবি নিয়ে চল্লিশটি ফোটোগ্রাফ। অবশ্যই দীপ্তকীর্তির কাজের খানিক অংশই এতে ধরা গেল। […]

গুপ্তিপাড়ার প্রাচীন গ্রন্থ পাঠ । গুপ্তিপাড়ার মঠ – শ্রীপতি চরণ কবিরত্ন সাহিত্যাচার্য । ১ম অংশ

গ্রন্থ বিবরণগ্রন্থ শিরোনাম – গুপ্তিপাড়া মঠ (প্রথম খণ্ড)রচয়িতা – শ্রীপতি চরণ কবিরত্ন সাহিত্যাচার্যরচনাকাল – ১৯১১ খৃষ্টাব্দভূমিকা – শ্রী নৃসিংহপ্রসাদ ভট্টাচার্যঅনুলিপিকার – শ্রী শ্যামাপদ চট্টোপাধ্যায়মূল অনুলিপি গুপ্তিপাড়া শিশির বাণী মন্দির পাঠাগারে সংরক্ষিতডিজিট্যাল কপি সৌজন্য – বৃটিশ লাইব্রেরি ( https://eap.bl.uk )পাঠ পরিকল্পনা‘গুপ্তিপাড়ার মঠ’ গ্রন্থটি দুটি খণ্ড রয়েছে। দুটি খণ্ডই আমরা ক্রমে পাঠ করবো। বর্তমানে প্রথম খণ্ডের পাঠ […]

যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা (ছোটগল্প)

এক তিন্নি, এই তিন্নি… তিন্নি……আর তিন্নি, তিন্নি তখন ছুট, ছুট…ছু—-ট। এক্কেবারে সোজা পাশের বাড়ির বালির গাদায়। দিগম্বর হয়ে তিনি তখন ইমারৎ গড়তে বসেছেন। গায়ে মাথার জল। সবে স্নান সারা হয়েছে, গা-টাও মোছা হয়নি এখনো।– কোথায় গেলি আবার? হাতে গামছা নিয়ে ঘুরছে মাধুরী। এক্ষুনি গাড়িকাকু এসে পড়বে, তিন্নি……হঠাৎই বালির গাদায় আবিষ্কার করেন তার ছোট্ট ছেলেটিকে। আপনমনে […]

পৃষ্ঠপোষক সদস্যপদ

আমরা নিয়মিত গুপ্তিপাড়ার ঐতিহ্য সম্পর্কিত কন্টেন্ট তৈরিতে আগ্রহী। এই সময়ে নিয়মিত ডিজিট্যাল প্রকাশনার খরচ অত্যন্ত বেশি। এছাড়াও একটি আধুনিক ওয়েবসাইট পরিচালনার খরচও কিছু কম নয়। এই সমস্ত ব্যয়ভার পরিচালনার জন্য আমরা গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দাদের কাছেই সাহায্যপ্রার্থী। গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষক সদস্যপদের জন্য অত্যন্ত স্বল্পমূল্যের আর্থিক অনুদান রাখা হয়েছে। এই অনুদানের সহায়তায় গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার ব্যয়ভার পরিচালিত হয়। এই প্রচেষ্টা আপনাদের সৎ ও গঠনমূলক মনে হলে গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার ‘পৃষ্ঠপোষক সদস্যপদ’ নিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারেন। গুপ্তিপাড়ার সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রসারের কাজে গুপ্তিপাড়ার সমস্ত বাসিন্দাদের সাহায্য আমাদের একান্ত প্রার্থনীয়।